Loading...

Monday, June 1, 2015

বৃষ্টি (ছড়া)

আহা বৃষ্টি, দেখ বৃষ্টি 
ভেজার যত শিল্প। 
ওহ দিবাকর, নটকা দেখ 
দেখ মেঘের গল্প। 

ভিজবে আকাশ, ভিজবে মাটি 
ভিজবে সকল পাখি। 
রঙধনুতে রং লেগেছে 
দেখ মেলে আখি। 

পুকুর বিলে বান ডেকেছে 
নাচিয়ে মৎসকুল। 
বৃক্ষরাজি প্রাণ পেয়েছে 
ফুটিয়ে নতুন ফুল। 

ঝর ঝড় ঝর বারিধারা 
পড়ছে অবিরত 
কাজ না পেয়ে, কাঁদছে তারা 
দিনমুজুরি যত।

Wednesday, May 20, 2015

গ্রীষ্মের পংক্তিনামা

তীব্র দাবদাহে ঘর্মাক্ত দেহ
ছাতিফাটা তৃষ্ণায়
এক অট্টহাস্য বৃষ্টি হয়ে নামে
পরিতৃপ্তির ভালবাসায়।

সংগবদ্ধ আষাঢ়ের অপেক্ষায়
চোখ ধেঁধেঁ যায় হলকা হাওয়ায়
বৃষ্টির আশির্বানী পাই
মৃদুমান্দ দখিনা হাওয়ায়।

কেমন এই রঙ্গযাদু
যাদু-টোনা হার মেনে যায়।
গ্রীষ্ম্মের এই চরম যন্ত্রনায়
শীতল অবগাহন করি ভালবাসায়...

Saturday, May 16, 2015

কেনা-বেঁচা

কেনা-বেঁচা হয় প্রতিনিয়ত-
কারন-অকারন সংখ্যার বিচারে।
চাল-আলু-মাছ কিংবা সম্মান
স্বপ্নও হয় কখনো কখনো।
নগদ অথবা বাঁকিতে মূল্য সহযোগ
পসরা বিছানো সংযোজন কর।

ফুল কেনা-বেঁচা হয় ফুলগলিতে
সুগন্ধটা পড়েই থাকে।
মানুষও বিকি-কিনি হয় যেখানে সেখানে
আত্মাটা কেনা যায় কেমন করে?

Thursday, May 14, 2015

দেহ তত্ত্ব

দেহের ভেতর মন আছে
মনের ভেতর আত্মা
মানব জনম সফল হবে
মিলবে যখন সত্ত্বা।

দেহ দিয়েই দেহ ধারণ
সংসারেতে থাকা
মনের খবর কোথায় পাবি
সবই যে তোর ফাকা।

প্রেম যে আছে সবার সাথে
নাই যে কোন গুরু
ইন্দ্র-ভোগে জগৎ হাসে
মন যে কেবল উড়ু।

অন্তরেতে মনের বাড়ি
থাকেন কারিগর
দিবা-নিশি ভক্ত-প্রাণে
তিনিই আপন-পর।
https://www.onlinecasino.us/let-it-ride/

Sunday, May 10, 2015

গতির খোঁজে

কে নেড়ে যায় রিমোটের চাবি
আমি বারবার হতাশায় ডুবি।
কেঁদে কেঁদে হেঁটে ফিরি অগ্নিপথ
জীবনটা বড্ড ঘোড়েল, ভিষণ শ্লথ।
একঘেয়ে একপেশে সবটা সময়
কি দোষ আমার? কবে হবে গতিময়?

Sunday, May 3, 2015

পুরনো জোয়ার


পৃথিবীর পথে পথে সন্ধ্যা নামে
বিকেল শেষে তোমায় দেখি
ছয়টি বছর আগে।

পুরনো জোয়ার হৃদয় মাঝে
ছলাৎছল্‌ সুর বারংবার,
সময়ে বদলেছ তুমি
বদলাতে পারিনি অলিন্দ ঝংকার।
দেখে দেখে কেঁপে উঠি
এলোমেলো সারাবেলার দিনকাল।
দরজা খোলেনি পুরনো লাগেনি
বিষ্ময়ের সময় ভ্রমনকাল।

আজও কাঁদে পুরনোভাবে
ফিরে চলি ছয়টি বছর আগে।

Wednesday, April 29, 2015

যাপিত জীবনে

জীবিকার প্রয়োজনে আমি তোমাদের লোক,
অথচ আমিত্ববাদকে বর্জন করতে শিখিনি।
দৈনন্দিন মিথ্যাচার-ছিনতাই-রাহাজানি লোকাচার
কুটলোকটাকেও বলে ফেলি ভাল আছি।
অন্ন অন্বেশনে সমাজে ভিড়ি এক একটা মুখোশ পরে
যাপিত জীবনে ছুটি মিলে, নিস্তার মেলে না।
ভালবাসাবাসি প্রয়োজনে-নিয়মে- দেখানোর ছলে
আবেগতারিত কম প্রশ্রয়ে স্বপ্নের বেড়াজালে।

Monday, April 27, 2015

বন খেকো

বন খেকো

বন উজার করতে নেমেছি
গ্রাস করি মাঠের পর মাঠ,
উদয়াস্ত রক্তস্নাত হই
ক্ষুধা কমেনা।
তিব্র আর্তনাদে প্রাণীকুল
পিঁপড়েরাও পালাতে পারেনা।
মানবতা অন্ধ ভিখিরি
সিংহের ছায়ায় আমি হেসে মরি।
আমি দগ্ধ করি বন
হামাস আমাকে ছুঁতেও পারেনা।

Friday, April 24, 2015

অপেক্ষায়

অপেক্ষায়


একটা নিদারুণ বোবা কান্না শুনতে পাই
অস্তিত্বের বেদনা বুঝি তার নাম।
আমার দেহে আর্তনাদ করে হেমগ্লোবিন
আর তার পাশে হেঁটে যায় উত্তেজিত হৃদস্পন্দন।
আগুনের লেলিহান শিখায় চেয়ে দেখি
নিজেকে ছায়া-ছবির মত মনে হয়।
ভেতরে ভেতরে গুমরে কোরাস গায় দ্বেষ
তোমার খোলস বদলের অপেক্ষায় বহুদিন বাংলাদেশ।

Tuesday, April 21, 2015

শিল্পের আড্ডায়

শিল্পের আড্ডায়


শিল্পের তালে তালে  সর্বজনিন
করি না বিভাজন, সদা মুক্তমন।
রাজনীতি বুঝিনা, বুঝিনা লোকাচার
চলি আপন মনে
চিনিনা ধনী কিম্বা হরিজন।

মোহনামুখে ছুটে চলি নদীর সাথে
নদীও জাত চেনেনা, চেনেনা গোলাপের সুঘ্রান
খন্ডিত নগরীতে কবিগান করি
নগরী বহমান-আলীশান-পেরেশান-মৃতপ্রায়
ভাতও বিকায় সেথায় রাজনীতির দরে...

শীত-গ্রীষ্ম ভেদাভেদ ভুলে
নগর যন্ত্রের ক্যাঁচক্যাঁচে
আড্ডায় মাতি এই ফুল সড়কে
তোমাদের সাথে।

আমরা তোমাদের লোক, তোমাদের পথে
একটু খোলস বদল, একটু আলাদা।

Monday, April 20, 2015

কাকের মৃত্যুর পর

কাকের মৃত্যুর পর


একটি কাক ভূপাতিত হ'ল। নেতা কাকের উপস্থিতিতে হয়ে গেল শোক ও প্রতিবাদ সভা। অতঃপর সারা শহর জুড়ে বিক্ষোভের ক্যাচক্যাচানি। মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। থেমে যায় কাকেরা। আবার তাঁরা ময়লা খায়-সাবান চুরি করে যাপিত জীবনে। ভাগাড়ে পড়ে থাকে মৃত কাকটির লাশ।

শুধু কাক সঙ্গিনী মনে রাখে - সে কি হারিয়েছে।

Wednesday, April 1, 2015

ক্ষমা করো

উড়ে গেছে একশটি কবিতার পাতা
আফসোস নেই, যাক সেটা।
তাদের ভাগ্য নিয়ে ফিরে গেছে
দূরপাল্লার কোনো শ্টেশনে
টুকরো কাগজের ঠোঙ্গা হয়ে।
আমাকে ভুল বুঝো না
যুবা উড়ু মন স্থির ছিল না।
ক্ষমা করো হে আমার কবিতার পাতা
তোমাকে যত্নে রাখতে পারিনি।
যেমন যত্নে রাখতে পারিনি
চুল্লাল্লিশ বছরের স্বাধীনতা।

Tuesday, March 31, 2015

পাহাড়ে বৃষ্টি

পাহাড়ে হটাৎ বৃষ্টি
ভারাক্রান্ত আকাশ।
রিনিঝিনি শব্দে চলে
চলাচলের ছলাৎ ছল।
পাহাড় গড়িয়ে নামে জল
ভেজায় রাস্তা-
         গিরিপথ-
              মেঠোপথ-
                    পাহড়ী নদীর ঢল।
সূর্য থাকে আড়ালে
আলো আঁধারীর খেলার ছলে।
মেঘেরা সাঁতরায়ে যায়
রুদ্ররুপে আকাশের গায়।
মোহভুলে চিগমি আজ
গায় মেঘমল্লার গান,
নীলচে পাহাড়ে লাগে
নববর্ষার প্রাণ।


তিনি কোথায়

জ্ঞান হারানোর আগে তাঁকে আবছা দেখেছিলাম। বস্তিতে আগুন লাগার সময় দেখিনি। যুদ্ধের ময়দানেও দেখিনি। চড়া সুদের দাদনীর ঋণ পুনরুদ্ধার দল যখন জমিলাকে ভিটে ছাড়া করল। তখনও তিনি অনুপস্থিত। খুব মায়াবী দেখতে নাকি। পার্কের আড্ডায়, চায়ের কাপে, রাজনীতির ভাষণে, মানুষের মুখে মুখে তাঁর নাম। এখন এ-লোকে কদাচিৎ দেখা যায়। 

খুব কষ্ট করে, যত্ন নিয়ে ভালবেসে মানুষ তাঁর নাম রেখেছিল 'মানবতা'।